<<90000000>> দর্শক
<<240>> উদ্যোক্তা 17টি দেশে
<<4135>> টি কৃষিবাস্তুবিদ্যা ভিডিও
<<105>> ভাষা উপলব্ধ

প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত তথ্য

ইউএসএইড ভিডিও টুলকিট প্রাথমিকভাবে এই তথ্যভাণ্ডার তৈরি করেছেপরিপূর্ণ টুলকিট এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে : : https://www.ictforag.org/video/

যেকোনো ভিডিও শুটিং বা প্রচার করার আগে আপনি টেকনিক্যাল বিষয়গুলো পছন্দ করে নিতে পারেন। কম দামের অনেক ভিডিও রেকর্ডিং ডিভাইসের তথ্য এখানে একনজরে দেখে নিতে পারেন। যে-তথ্যগুলো থেকে আপনি ডিভাইসগুলোর সবল দিক এবং দুর্বল দিকগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং আপনার কাজের জন্য কোনটি সবচেয়ে উপযুক্ত তা ঠিক করে নিতে পারেন। এই ওয়েবসাইটটি বাড়তি ডিভাইস, সম্পাদনা সফ্টওয়্যার এবং সম্ভাব্য অন্যান্য টেকনিক্যাল বিষয়গুলো সম্পর্কেও তথ্য প্রদান করে।

আপনি যদি একবার সিদ্ধান্ত নেন যে, আপনার প্রজেক্টে ভিডিও অন্তর্ভুক্ত করবেন, তবে আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য কোন ডিভাইসগুলো সবচেয়ে উপযুক্ত তা বেছে নিন। যেহেতু প্রতিটি অবস্থা আলাদা এবং ভিডিও এবং অডিও সরঞ্জামগুলো প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে, সেহেতু এটি বলে দেওয়া সম্ভব নয় যে, কোনগুলো আপনার কাজের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। এই ডিভাইসগুলো চারটি প্রধান শাখায় বিভক্ত :

এই ওয়েবসাইটটি সংকলনের সময়কালে সব তথ্য যথাযথ ছিল, তবে একথা মনে রাখা দরকার যে, অন্যান্য ডিজিটাল টেকনোলজিগুলোর মতো ভিডিও টেকনোলজিগুলোও দ্রুত উন্নত হচ্ছে। টেকনোলজি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনার নিজস্ব স্বাধীন গবেষণার জন্য অন্য ভোক্তাদের মতামত বিবেচনা করুন এবং টেকনোলজি উপকরণে কোনো অগ্রগতি হয়েছে কি না তা জেনে নিন, আপনার প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল উপকরণের জন্য সেটাই হবে উত্তম পন্থা। বিশেষজ্ঞ এবং ভোক্তাদের পর্যালোচনার জন্য সিএনইটি [CNET]  (https://reviews.cnet.com) একটি উপযুক্ত তথ্যভান্ডার।

একনজরে

পকেট ক্যামকোর্ডারগুলো আকারে ছোটো, ‘তাক করো আর শ্যুট করো-এর মতো সুবিধাজনক ব্যবহার, আকার এবং স্বল্প মূল্যের জন্য এই ডিভাইসগুলো জনপ্রিয়। এর বেশিরভাগ মডেলই শুধু অন / অফ বোতাম চেপে চালানো যায়। এই ডিভাইসগুলো দিয়ে রেকর্ডিং করা, শব্দ নিয়ন্ত্রণ করা, প্লেব্যাক করা এতই সহজ যে, একেবারে নতুনরাও এগুলো অনায়াসে চালাতে পারে।

সবল দিক

আরামদায়ক ব্যবহার, কমপেক্ট সাইজ আর সাশ্রয়ী মূল্য এই ডিভাইসগুলোর সবচেয়ে বড়ো সুবিধা। এই ডিভাইসগুলো প্রায়ই মূল সম্পাদনা সফটওয়্যারের সাথে যুক্ত হয়ে যায়, তখন এর সাহায্যে সহজে এবং দ্রæত ভিডিও এডিটিং করা যায়। এই ডিভাইসগুলোর হাই ডেফিনেশন (HD) সহজলভ্য, যদিও এগুলোর চিপ ও লেন্সের সীমাবদ্ধতা প্রকৃত এইচডি (HD) মানের কাজ করার জন্য উপযুক্ত নয়, এসব হাই ডিভাইসের সংখ্যা দিন দিন সহজলভ্য হচ্ছে। 

দুর্বল দিক

অভ্যন্তরীণ মাইক্রোফোনগুলো প্রায়শই নিম্নমানের হয়, এগুলো অযাচিত শব্দ [background noise] ধারণ করে। পেশাদার বা মানসম্পন্ন মডেল ছাড়া ভিডিও প্রডাকশন এইচডি [HD ] মানসম্পন্ন হয় না। পেশাদার অথবা মানসম্পন্ন এইচডি ভিডিওর মতো এগুলো নাও হতে পারে। বেশিরভাগেরই ডিজিটাল জুম-মান ভালো না এবং সীমিত। এগুলোতে ফোকাস, হোয়াইট ব্যালেন্স ইত্যাদি হাতে সমন্বয় বা ম্যানুয়ালি এডজাস্ট করা যায় না। বেশিরভাগেরই ডিজিটাল জুম নিম্নমানের হয় এবং [ছবি ফোকাস করা, হোয়াইট ব্যালেন্স করা, ইত্যাদি ক্ষেত্রে] ম্যানুয়্যাল এ্যাডজাসমেন্ট সক্ষমতা থাকে না, বা একেবারে কম থাকে।

সবচেয়ে উপযুক্ত সময় কখন

এটির স্বল্পমূল্যতা এবং কার্যকারিতার জন্য কোন সীমিত অভিজ্ঞতাযুক্ত অথবা অভিজ্ঞতাহীন কোন ব্যক্তি, যেমন কৃষক, মাঠকর্মী ব্যক্তিদের ব্যবহারের জন্য এটি আদর্শ 

বিবেচ্য বিষয়

নির্দিষ্ট কোনো মডেল কেনার বিষয়ে স্থির সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনি নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করুন :

অডিও উপকরণ সকেট : স্বীকৃত সীমাবদ্ধতা সত্তে¡ও ইন্টারনাল মাইেক্রোফোনগুলোর অডিও উপকরণ সকেট খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে অডিওর মান বাড়ানোর জন্য আপনাকে এক্সটারনাল মাইক্রোফোন ব্যবহার করতে হবে। 

সম্প্রসারণযোগ্য মেমোরি : বেশিরভাগ পকেট ক্যামকোর্ডারের ইন্টারনাল মেমোরির সাহায্যে মাত্র দুই ঘণ্টা শুটিং করা যায়। এক শটে বেশি সময় ধরে শুটিং করার জন্য বাড়তি মেমোরি স্লটযুক্ত মডেলগুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনাকে অতিরিক্ত SD মেমোরি ব্যবহার করতে হবে।

ব্যাটারির ধরন : বেশিরভাগ মডেলে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়, যদিও কোনো কোনো মডেল এএ ব্যাটারিতেও চলে। যা হোক, এটা নিশ্চিত হন যে, ব্যাটারিগুলো ডিভাইস থেকে আলাদা করা যায় এবং সেগুলো পৃথক অবস্থায় চার্জ করা যায়। সরাসরি ব্যাটারি চার্জ করতে গেলে ক্যামকোর্ডারের ক্ষতির ঝুঁকি থাকে, বিশেষত বিদ্যুৎ চলে যাবার পর যখন পুনারায় ফিরে আসে।  বেশিরভাগ পকেট ক্যামকোর্ডারের ব্যাটারির মেয়াদ গড়ে ৯০ মিনিট। তাই গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও রেকডিংয়ের সময় অন্তত দুটি রিমুভেবল ব্যাটারি সাথে রাখুন, যার একটি, যেটি ব্যবহৃত হচ্ছে না, সেটি যেন চার্জ দেওয়া থাকে সে ব্যবস্থা রাখুন।

প্রাপ্যতা : খুব জনপ্রিয় দুটি ব্র্যান্ড [ফ্লিপ ও কোডাক] সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, তারা পকেট  ক্যামকোর্ডারের উৎপাদন কমিয়ে আনবে। তাদের এ সিদ্ধান্তের ফলে, মডেলগুলোর জন্য যে টেকনিক্যাল সহযোগিতা ছিল তা কমে যাবে। এই ব্র্যান্ডের মডেল তো বটেই এমনকি অন্য ব্র্যান্ড কেনার সময়ও কথাটি মনে রাখুন। এই বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা উচিত যে, আপনি যে মডেল কিনবেন সেগুলো স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য নয়, কোনো প্রযুক্তিগত ত্রæটির কারণে আপনাকে উৎপাদনকারী দেশে বা মূল জায়গায় সেগুলো ফেরত দিতে হতে পারে। 

আনুমানিক মূল্যসীমা

বেশিরভাগ মানসম্পন্ন মডেলের মূল্য $১০০ থেকে $১৫০ এর মধ্যে। ফুলার ফিচার্ড ক্যামকোর্ডারের মূল্য প্রায় $২০০। সনি, ক্রিয়েটিভ, আরসিএ, সানিও এবং জুম অতি পরিচিত পকেট ক্যামকোর্ডার মডেল।

স্ট্যান্ডার্স ক্যামকোর্ডারস

একনজরে

স্ট্যন্ডার্স ক্যামকোর্ডারগুলো সাধারণত পকেট ক্যামকোর্ডারের চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বড়ো। এগুলো পকেট ক্যামকোর্ডারের চেয়ে বেশি শক্তিশালি ফিচার-সমৃদ্ধ ; এগুলোর ভিডিও ও অডিও রেকর্ডিং উচ্চমানের, অপটিক্যাল জুমের মান ভালো, স্ক্রিন বড়ো এবং অন-বোর্ড ফিচারও শক্তিশালী।

সবল দিক

সাধারণভাবে বলা যায়, স্ট্যান্ডার্ড ক্যামকোর্ডার ব্যবহার করে আপনি পকেট ক্যামকর্ডারের চেয়ে টোকনিক্যালি উচ্চমানের ভিডিও নির্মাণে করতে পারবেন। 

দুর্বল দিক

যদিও দামে তারতম্য আছে, তবুও স্ট্যান্ডার্ড ক্যামকোর্ডারের মডেলগুলো পকেট ক্যামকোর্ডারের চেয়ে বেশি মূল্যের। সব মডেলের অডিও উপকরণ ‘জ্যাকস’ পাওয়া যায় না। এগুলোর সাথে সংযুক্ত অতিরিক্ত ফিচারগুলো নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য অসুবিধাজনক হতে পারে এবং যথাযথভাবে ব্যবহার না করার দরুন নিম্নমানের ভিডিও তৈরি হতে পারে। 

সবচেয়ে উপযুক্ত সময় কখন

ভিডিও তৈরির ক্ষেত্রে কমপক্ষে একটি মাঝারি স্তরের অভিজ্ঞতার ব্যক্তিদের দ্বারা ব্যবহারের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ক্যামকর্ডার সম্ভবত প্রযোজ্য। সঠিক প্রশিক্ষণর ছাড়া এগুলি সরাসরি কৃষক বা মাঠ কর্মকর্তাদের  ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত নয়।

বিবেচ্য বিষয়গুলো

স্ট্যান্ডার্ড ক্যামকোর্ডারের নানারকম ধরণ এবং ফিচারের দরুন এগুলো ব্যয়বহুল। এর কোন মডেলটি আপনার সুনির্দিষ্ট প্রয়োজন মেটাবে তা গবেষণা করে বের করুন।  

অডিও উপকরণ [মাইক্রোফোন] সকেট :: অভ্যন্তরীণ মাইক্রোফোনের স্বীকৃত সীমাব্ধতা সত্তেও এগুলোর অডিও উপকরণ সকেট খুব গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ব্যবহার করলে আপনাকে অডিওর মান বাড়ানোর জন্য এক্সটারনাল মাইক্রোফোন ব্যবহার করতে হবে। সব ক্যামকোর্ডারের পৃথক অডিও সকেট থাকে না। 

ল্যাঙ্ক সকেট : কিছু ক্যামকোর্ডারের ল্যাঙ্ক সকেট নামে আরেকটি সকেট থাকে। এটি রিমোট জুম কন্ট্রোলারস সংযুক্ত করে ব্যবহার করা যায়, ক্যামেরাটি সহজে ব্যবহার করার জন্য এটি আপনাকে অপটিক্যাল জুম সুবিধা পেতে সক্ষম করবে। 

আনুমানিক মূল্যসীমা

স্ট্যান্ডার্ড ক্যামকোর্ডারসের দাম সাধারণত $২০০ থেকে $১০০০ এর মধ্যে। তবে, এর মূল্য নির্ভর করে কী ধরনের ফিচার আছে এবং সেগুলোর মানের ওপর।

প্রো-সামার ক্যামকোরডারস

একনজরে

ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল লেন্স, সম্পূর্ণ এইচডি সক্ষমতা এবং অন-বোর্ড ফিচার-সহ একজন ভিডিওগ্রাফারের জন্য সম্ভাব্য যতগুলো ফিচার প্রয়োজন, তার প্রায় সবগুলোই প্রো-সামার ক্যামকোর্ডারে থাকে।

সবল দিক

ভিডিও এবং অডিও গুণমানের দিক থেকে এই ক্যামকোর্ডারগুলো সেরা, এর ভেতর থেকে আপনি পরিপূর্ণ পেশাদার ক্যামেরা খুঁজে নিতে পারবেন।

দুর্বল দিক

এই ক্যামকোর্ডারগুলোর প্রাথমিক দুর্বলতা হলো বেশিরভাগ কৃষি-প্রকল্পের জন্য এগুলো উচ্চমূল্যের এবং এগুলো চালানোর মতো দক্ষ লোক খুঁজে পাওয়া। 

সবচেয়ে উপযুক্ত সময় কখন

প্রো-সামার ক্যামকোর্ডারগুলোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বিবেচ্য বিষয় হলো, হয় এগুলো প্রশিক্ষিত কোনো ভিডিওগ্রাফার চালাবেন অথবা তার তত্ত্বাবধানে অন্য কেউ চালাবেন। 

বিবেচ্য বিষয়গুলো

প্রো-সামার ক্যামকোর্ডারগুলো থেকে সর্বোচ্চ মান পতে হলে এটা নিশ্চিত হন যে, আপনার কর্মীদের মধ্যে একজন দক্ষ ভিডিওগ্রাফার আছেন অথবা তাদের মধ্যে একজনকে প্রশিক্ষিত করে নেওয়া যাবে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সেরা মডেলটি বাছাই করার মতো উপদেশ দেওয়ার যোগ্যতাও ওই ব্যক্তির থাকতে হবে।   

অডিও উপকরণ [মাইক্রোফোন] সকেট : যদিও এই ক্যামেরাগুলোতে ইন্টারনাল মাইক্রোফোনগুলো ভালো মানের থাকে, তবু একটি অডিও উপকরণ সকেট খুব গুরুত্বপূর্ণ। উন্নতমানের অডিও পেতে এগুলোর সাহায্যে আপনি এক্সটারনাল মাইক্রোফোন ব্যবহারে করতে পারবেন, বিশেষত সাক্ষাৎকার গ্রহণের সময়। 

ল্যাঙ্ক সকেট: এই ক্যামকোর্ডারগুলোতে ল্যাঙ্ক সকেট নামে অন্য একটি সকেট থাকে। এটি জুম কন্ট্রোলার সংযুক্ত করে ব্যবহার করা যায়, এগুলোর সাহয্যে আপনি সহজে ক্যামেরাতে জুম সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন।  

আনুমানিক মূল্যসীমা

এই ক্যামেরাগুলোর দাম সাধারণত $১০০০ থেকে  $৬০০০ এর মধ্যে। তবে, এগুলোর দাম নির্ভর করে ফিচারের মানের ওপর।  

মাল্টিফাংশানাল ডিভাইস

একনজরে

মূল কাজের পাশাপাশি, মোবাইল ফোন ও ডিজিটাল ক্যামেরা এ দুটি ডিভাইস দিয়েও আজকাল ভিডিও রেকর্ডিং করা যায়। 

সবল দিক

ডিভাইসগুলোর শক্তিশালী দিক হলো এগুলো প্রতিনিয়ত সহজলভ্য হয়ে উঠছে। স্থানীয়ভাবে সুবিধাভোগী বা কর্মীগণ যদি ইতোমধ্যেই এ ডিভাইসগুলোর ব্যবহার জেনে থাকেন, তবে তারা প্রজেক্টের খরচ কমিয়ে দিতে পারে। 

দুর্বল দিক

আমরা যেসব ক্যামকোর্ডার নিয়ে আলোচনা করেছি, সেগুলোর তুলনায় এই ডিভাইসগুলো দিয়ে তৈরি ভিডিও ও অডিও-র মান খারাপ হয়। একমাত্র ব্যতিক্রম হলোÑ ডিজিটাল এসএলআর ক্যামেরা, যা দিয়ে ভালো-মানের ভিডিও রেকর্ড করা যায়। তবে এসব ক্যামেরার দাম বেশি হওয়া ও ক্যামেরা চালানোর জটিলতার কারণে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ছাড়া এগুলো থেকে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না। এ ডিভাইসগুলো স্থির রাখা সহজ নয় বলে শুটিংয়ের সময় ক্যামেরা স্থির রাখতে বাড়তি ডিভাইসের সহায়তা প্রয়োজন হয়।

সবচেয়ে উপযুক্ত সময় কখন

যখন দেখা যাবে যে, প্রকল্পের পার্টনার বা সুবিধাভোগীগণ নিজেরা তাদের নিজেদের কাজেই ডিভাইসগুলো ব্যবহার করছে। মোবাইল ফোনে তোলা ভিডিওগুলো একেবারে খারাপ হয় না, ফলে সেগুলো বিতরণ করা যায়। ভালো মানের ভিডিও করা যায়Ñ এমন মোবাইল ফোনের চাহিদা নিশ্চিতভাবে বাড়ছে।

বিবেচ্য বিষয়গুলো

ডেডিকেটেড ক্যামকোর্ডারগুলো এখনো পর্যন্ত সামগ্রিক মানের দিক থেকে ভালো। সে যাই হোক, আপনি যদি মনোস্থির করেন যে, আপনি আপনার ভিডিও কর্মকাণ্ডের জন্য একটি মোবাইল ফোন বা ডিজিটাল স্টিল ক্যামেরা ব্যবহার করবেন তা হলে নিচের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখুন :

ভিডিও রেজুলেশন : রেজুলেশন কমপক্ষে ৭২০পি, যদি ১০৮০পি না পাওয়া যায়। এ ছাড়াও অন্তত ২৪ ফ্রেম প্রতিসেকেন্ডও (fps) দেখতে পারেন। 

অডিও মান : এই ডিভাইসগুলোতে ইন্টারনাল মাইক্রোফোনগুলো নিম্নমানের হয়। পকেট ক্যামকোর্ডারগুলোর মতো এগুলোতেও মাইক্রোফোনের সাথে ব্যবহারের জন্য অডিও উপকরণ জ্যাক আছে কি না তা নিশ্চিত হন। 

আনুমানিক মূল্যসীমা

আঞ্চলিক প্রাপ্যতা ও ডিভাইসের ওপর নির্ভর করে।

ভিডিও ক্যামকোর্ডারগুলোর সাথে সম্পর্কিত প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্যের আরো তথ্যের জন্য, পর্যালোচনা ও তুলনা করার জন্য CNET ভিজিট করুন।  তাদের ক্যামকোর্ডার কেনার গাইড হলো https://www.cnet.com/topics/video-cameras/products/.

আপনি নানা উপায়ে আপনার ভিডিও সম্প্রচার করতে পারেন, প্রত্যেকটির জন্য আলাদা আলাদা হার্ডওয়্যারের প্রয়োজন হবে। সুনির্দিষ্ট হার্ডওয়্যার বাস্তবায়নের জন্য এখানে শুধু চারটি পদ্ধতির ওপর আলোচনা করা হলো।

আপনি এই পদ্ধতি ব্যবহার করে কোনো প্রতিষ্ঠিত কম্পিউটার সেন্টারের সাথে কাজ করবেন এবং নিজে সরঞ্জাম কিনবেন না, এমন ধারনা করে কম্পিউটার সেন্টার বা টেলিসেন্টারগুলো এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
যদি আপনি কোনো কম্পিউটার সেন্টারের সাথে কাজ করেন, তা হলে কম্পিউটার সিস্টেম সাস্টেইনেবিলিটি টুলকিট পড়ে দেখতে পারেন, যেটি মূলত AED ( বর্তমানে FHI 360) দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এটি অনলাইনেও পাওয়া যায় : 

http://www.fhi360.org/resource/computer-system-sustainability-toolkit

ভিডিও প্রজেক্টর

একনজরে

ভিডিও প্রজেক্টর কম্পিউটার, ডিভিডি প্লেয়ার, ট্যাবলেট, এমনকি মোবাইল ফোনসহ নানারকম ডিভাইসে সংযুক্ত করা যায়। অনেক প্রজেক্টরেই  USB পোর্ট থাকে, ফলে USB স্টিক বা পেনড্রাইভ সরাসরি প্রজেক্টরের সাথে লাগিয়ে দেওয়া যায়।

অধিকসংখ্যক দর্শককে ভিডিও দেখানোর সময় এগুলো কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়। যদিও প্রজেক্টরের সাথে স্ক্রিন থাকা স্বাভাবিক (রোল করা এবং পোর্টেবল স্ক্রিন এখন সহজলভ্য) তবুও সাদা রঙের খালি দেওয়াল স্ক্রিন হিসেবে ব্যবহার করা যায়, এমনকি সাদা কোনো শিটও ব্যবহার করা যায়।   

সবল দিক

নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলে খোলা জায়গাসহ যেকোনো স্থানে প্রজেক্টর চালানো যায়। অনেক দর্শককে দেখানোর জন্য এর বড়ো স্ক্রিন খুবই সুবিধাজনক। 

দুর্বল দিক

নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজন হয় এবং আনা-নেওয়ার অসুবিধার দরুন ভিডিও প্রজেক্টরের ব্যবহার চ্যালেঞ্জিং এবং ব্যয়সাপেক্ষ। ভিডিও প্রজক্টর গ্রামীণ এলাকায় সহজলভ্য নয়।  

সবচেয়ে উপযুক্ত সময় কখন

অধিকসংখ্যক দর্শককে দেখানোর জন্য ভিডিও প্রজেক্টরের প্রয়োজন হয়, এটি প্রায়শই মোবাইল ভিডিও ভ্যানের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

বিবেচ্য বিষয়

নতুন প্রজেক্টরগুলো আকার এবং ওজনে আগের তুলনায় অনেক হালকা ও ছোটো হয়েছে এবং এগুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি বহনযোগ্য। যা হোক, এগুলো চালানোর জন্য নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ অথবা জেনারেটরের মতো নির্ভরযোগ্য কোনা স্থানীয় বিদ্যুৎব্যবস্থা থাকতে হবে।  
আপনার প্রজেক্টর থেকে সেরা মান পেতে হলে যেখানে এটি ব্যবহার করবেন সেখানকার আলোর পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। চারপাশের আলোর ওপর নির্ভর করবে স্ক্রিনের ছবি কতটা দৃশ্যমান হবে। যখন আপনার প্রজেক্টরের উজ্জ্বলতা লুমেন্সের ভেতর দিয়ে প্রকাশ পায় সত্যিকার অর্থে তখনই ছবি দেখা যায়। এরকম সময়ই আপনার প্রজেক্টরের লুমেন কতটা উজ্জ্বল তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।

যদি রুমটি মোটামুটি উজ্জ্বল হয় তা হলে আপনাকে ২০০০ লুমেন উজ্জ্বলতার একটি প্রজেক্টর নিতে হবে। ছবির মানের পাশাপাশি প্রজেক্টরের শব্দমান কেমন হচ্ছে, সেদিকে নজর রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। ফলে দর্শকের পরিমাণ ও চাহিদা মাথায়া রেখে বাড়তি স্পিকারের ব্যবস্থা রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। 

সবসময় এটা নিশ্চিত হবেন, যে-উপকরণের মাধ্যমে প্রজেক্টরে ভিডিও দেখাচ্ছেন সে-উপকরণের সাথে প্রজেক্টরের সংযোগ স্থাপনকারী তারটি যথাযথ আছে কি না।

আনুমানিক মূল্যসীমা

বহনযোগ্য ভিডিও প্রজেক্টরের মূল্য সবসময় কমতে থাকে এবং $৩০০ এ পাওয়া যায়। 

পকেট এবং পিকো প্রজেক্টর

একনজরে

পকেট ও পিকো প্রজেক্টরগুলো আকারে ছোটো হয়, এগুলো প্রায় পকেট ক্যামকোর্ডারের সমান বা তার থেকে সামান্য বড়ো। সাধারণত পিকো প্রজেক্টরে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়. এগুলো  নেভিগেবল হয়, ইন্টারনাল মেমোরি সিস্টেম থাকে এবং উপযুক্ত পরিস্থিতিতে ৫০ ইঞ্চি পর্যন্ত মাপের ছবি প্রদর্শন করা যায়। পকেট প্রজেক্টরগুলো মূলত নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহের সাহায্যে চলে।  

সবল দিক

আকারে ছোটো হওয়ার দরুন পকেট ও পিকো প্রজেক্টরগুলো মাঠ-পর্যায়ে বহন করে নিয়ে যাওয়া খুব সুবিধাজনক। অন্য অনেক হার্ডওয়্যারের তুলনায় এগুলো দামেও সস্তা। 

দুর্বল দিক

বেশিরভাগ মডেলের এএনএসআই [অঘঝও] লুমেন্স রেটিং তুলনামূলক কম থাকে, এর অর্থ হলো আপনি যে-ঘরে ছবি দেখাতে চান সেখানে ভালো মানের ছবি দেখানোর জন্য চার পাশের আলো সামান্য থাকতে পারে। পিকো প্রজেক্টরগুলোর তুলনায় পকেট প্রজেক্টরগুলোর লুমেন রেটিং বেশি থাকে। তবে এগুলো চালানোর জন্য নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজন হয়। 

সবচেয়ে উপযুক্ত সময় কখন

যেখানে নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ, টেলিভিশন এবং ডিভিডি/ভিসিডি প্লেয়ার অথবা কম্পিউটারের ওপর নির্ভর করতে হয় না, সেরকম জায়গায় অল্পসংখ্যক দর্শককে দেখানোর জন্য পিকো প্রজেক্টরগুলো উত্তম। পকেট প্রজেক্টরগুলো তুলনায় কিছুটা বড়ো দলের জন্য উপযুক্ত। 

বিবেচ্য বিষয়

পিকো এবং পকেট প্রজেক্টরগুলোর উত্তম ব্যবহারের জন্য আপনি নিচের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখবেন :

ডাটা ইনপুট : মাইক্রো-এসডি এবং মাইক্রো-ইউএসবি পোর্টস পছন্দ করুন। এর সাহায্যে আপনি ইন্টারনেট বা ইন্টারনাল মেমোরি ছাড়াই প্রজেক্টরে ভিডিও লোড করতে পারবেন। ইন্টারনাল মেমোরিসহ ডিভাইসও পছন্দ করতে পারেন। কেননা, এতে আগে থেকেই প্রজেক্টরে ভিডিও লোড করে রাখা যায়। 

বিদ্যুতের ধরন : আপনি সম্ভবত সেখানে এই প্রজেক্টরগুলো ব্যবহার করবেন যেখানে বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ নেই, আপনি এমন ডিভাইস পছন্দ করুন যেগুলো ব্যাটারির সাহায্যে কমপক্ষে এক থেকে দুই ঘণ্টা চলতে পারে। প্রজেক্টর থেকে পৃথক করে ব্যাটারি চার্জ করা যায় এমন ব্যাটারি রাখা ভালো, যে-বিষয়ে আমরা পকেট ক্যামকোর্ডারস বিভাগে আগে আলোচনা করেছি। কিছু মডেলের জন্য এক্সটারনাল ব্যাটারির প্রয়োজন হয়, অন্য মডেলগুলো ইউএসবি পোর্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পেতে পারে।  

অডিও আউট : সাধারণভাবে পকেট এবং পিকো প্রজেক্টরগুলোর অভ্যন্তরীণ সিস্টেমে সর্বোচ্চ ভলিউম নির্ধারিত থাকে বলে সেগুলো  group সেটিং’-এ কাজে লাগে না। এটি এড়িয়ে চলার একমাত্র উপায় হলো এক্সটারনাল স্পিকার ব্যবহার করা। যদি প্রজেক্টরের অডিও আউট জ্যাক না থাকে তবে সেটি এড়িয়ে চলুন।

আলোক সুবিধা : এটা নিশ্চিত হন যে, প্রজেক্টরটি কমপক্ষে ১০ লুমেন্স সম্পন্ন। এর থেকে কম হলে বেশিরভাগ জায়গায় এটি ব্যবহার করা যাবে না। আদর্শ প্রজেক্টর পেতে হলে ৩০ বা তার থেকে বেশি লুমেন্স সম্পন্ন প্রজেক্টর পছন্দ করুন। তাহলে, চারপাশে মৃদু আলো থাকলেও প্রজেক্টর থেকে পর্যাপ্ত আলো পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকবে। পকেট প্রজেক্টরগুলো সাধারণত উচ্চ লুমেনের আউটপুট সম্পন্ন হয়ে থাকে। 

ফাইল সম্প্রসারণ উপযুক্ততা : সব প্রজেক্টর সব ফরম্যাটে উপযুক্ত হয় না। এটা নিয়ে খুব চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। কেননা, আপনি সবসময় আপনার ভিডিও একটি সুবিধাজনক ফরম্যাটে রূপান্তর করতে পারবেন। (আরো তথ্যের জন্য সফ্টওয়্যার শাখা দেখুন)

রিমোট কন্ট্রোল : কিছু মডেলে রিমোট কন্ট্রোল থাকে, যেগুলোর সাহায্যে আপনি ভিডিও দেখানোর সময় সহজে নেভিগেটিং করতে পারবেন এবং বিরতি দিতে পারবেন।   

আনুমানিক মূল্যসীমা

পিকো প্রজক্টরগুলোর দাম ১৫০ এবং পকেট প্রজেক্টরগুলোর দাম ২৫০ ইউএস ডলার থেকে শুরু হয়।

শিক্ষকপ্রতি একটি করে মিডিয়া প্লেয়ার দিয়ে এ ডিভাইসগুলোর সমীক্ষা করা হয়েছে। অনলাইনে এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আপনি আরো তথ্য পেতে পারেন : www.ompt.org/content/video

টেলিভিশন এবং ভিডিও প্লেয়ার

একনজরে 

টেলিভিশন এবং ভিডিও প্লেয়ার (ডিভিডি অথবা ভিসিডি] অতি পরিচিত ভিডিও সম্প্রচার ডিভাইস। কিছু নতুন ধরনের টেলিভিশন আছে যেগুলোতে SD কার্ড বা USB পোর্ট সংযুক্ত থাকে, এগুলোর সাহায্যে আপনি ভিডিও প্লেয়ার ছাড়াই সরাসরি ভিডিও দেখাতে পারেন।

সবল দিক

বিশ্বজুড়ে প্রজেক্টর বা কম্পিউটারের চেয়ে টেলিভিশন এবং ভিডিও প্লেয়ার বেশি পরিচিত। এই ডিভাইসগুলোর স্থানীয় প্রাপত্যা এবং সহজগোম্যতার দরুন প্রকল্পের জন্য নিজস্ব সম্প্রচার-সরঞ্জাম কেনার প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। 

দুর্বল দিক

এগুলো যখন তখন পাওয়া যায় না, পরিবহণ এবং বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার কারণে টেলিভিশন এবং ভিডিও প্লেয়ার লজিস্টিক্যালি চ্যালেঞ্জিং এবং ব্যয়সাপেক্ষ। 

সবচেয়ে উপযুক্ত সময় কখন

আপনি যে কমিউনিটিতে কাজ করছেন সেখানে যদি টেলিভিশন এবং ভিডিও প্লেয়ার থাকে তবে তা আপনার ভিডিও সম্প্রচারের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।

বিবেচ্য বিষয়

আপনি যে এলাকায় কাজ করেন যদি সেখানে এই ডিভাইসগুলো আগে থেকেই থেকে থাকে তা হলে আপনি সেগুলো ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সেগুলো কোথায় আছে তা বিবেচনা করুন। এ ছাড়াও আপনি স্থানীয় বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে জানুন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কয়েকজন কৃষক হয়ত কোনো ধনী পরিবারে অথবা বিরাধী কোনো রাজনৈতিক নেতার বাড়িতে ভিডিও দেখতে দ্বিধাবোধ করতে পারে। নিরেপক্ষ জায়গা এবং দর্শকের শারীরিক সুবিধা আপনার সর্বোচ্চ বিবেচনায় থাকতে হবে। আপনি যদি দেখেন যে, কোনো জায়গা নির্ধারণ করার পর কৃষকেরা সেখানে ভিডিও দেখতে আগ্রহী নয়, তবে আপনাকে অবশ্যই জায়গা বদল করতে হবে।

যদি এই ডিভাইসগুলো স্থানীয়ভাবে পাওয়া না যায় এবং আপনি যদি সিদ্ধান্ত নেন যে, আপনি এগুলো সংগ্রহ করবেন তা হলে নিচের লজিস্টিক বিষয়গুলো বিবেচনা করুন :

· আপনার এই সরঞ্জামগুলো রাখার মতো নিরাপদ জায়গা আছে কি না ?

· যদি আপনি পরিকল্পনা করেন যে, এগুলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখবেন, তা হলে সেই জায়গাটি কৃষকদের যাওয়ার জন্য সুবিধাজনক কি না ?

যদি তা না হয় তা হলে এগুলো আনা-নেওয়া করার ব্যাপারে আপনার পরিকল্পনা কী ? 

· স্থানীয় বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য কি না ?

· যদি তা না হয়, আপনি বিদ্যুতের উৎস হিসেবে জেনারেটর কিনবেন কি না ?   

আনুমানিক মূল্যসীমা

আপনি ২২০ থেকে ৪০০ ইউএস ডলারের মধ্যে ইউএসবি পোর্টসহ একটি ২৬ ইঞ্চি এলসিডি টেলিভিশন কিনতে পারবেন। যদি আপনার ব্যবহার করার মতো একটি টেলিভিশন থাকে তবে আপনি ৩০ থেকে ৫০ ইউএস ডলারের মধ্যে একটি ডিভিডি প্লেয়ার কিনতে পারেন।  

জেনারেটরের মূল্য নির্ভর করে স্থানীয় প্রাপ্যতার ওপর, তবে প্রতিটি মূল জেনারেটরের জন্য আপনাকে ২০০ ইউএস ডলার ব্যয় করতে হবে, এর বাইরে এটি চালানোর জন্য জ¦ালানি খরচ তো আছেই।

এর একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে আপনি মোটর গাড়ির ব্যাটারি ব্যবহার করতে পারেনে।    

বহনযোগ্য ভিডিও প্লেয়ার

একনজরে

বহনযোগ্য ভিডিও প্লেয়ারগুলো (PVPs) হলো কমপ্যাক্ট ডিভাইস, যেগুলোর সাধারণত তিন থেকে ১০ ইঞ্চি মাপের স্ক্রিনসহ বিল্ট-ইন ডিভিডি প্লেয়ার থাকে। কিছু মডেলে ইউএসবি এবং এসডি-কার্ড মেমোরি উপকরণ সল্ট থকে। বড়ো দলে ব্যবহার করার জন্য প্রায় প্রতিটি মডেলে ভিডিও থেকে প্রজেক্টরে আউটপুট দেওয়ার সুবিধা থাকে।

সবল দিক

পিভিপিএসগুলো কমপ্যাক্ট এবং অপেক্ষাকৃত হালকা হওয়ায় এগুলো সহজে বহন করা যায়। ভিডিও প্রচারের জন্য ডিভিডি বার্ন (বা রাইট) করতে না চাইলে এসডি কার্ড-যুক্ত মডেলগুলো সাশ্রয়ী হতে পারে।

দুর্বল দিক

বহনযোগ্য ভিডিও প্লেয়ারগুলোর স্ক্রিনের আকার ছোটো। স্মার্ট ফোন এবং ট্যাবলেটের জনপ্রিয়তা বাড়ার কারণে একমাত্র লক্ষ্য এই ডিভাইসগুলোর প্রয়োজনীয়তা কমে আসছে। 

সবচেয়ে উপযুক্ত সময় কখন

নিজের দ্বারা ব্যবহৃত, একইসময়ে অল্প দর্শককে দেখানোর জন্য পিভিপিএস সবচেয়ে উপযোগী।

যা হোক, যখন প্রজেক্টর এবং অডিও স্পিকার ব্যবহার করবেন অথবা কোনো টেলিভিশন সেট ব্যবহার করবেন, তখন বড়ো কোনো দলকে দেখানোর জন্য এগুলো খুবই কার্যকর।   

বিবেচ্য বিষয়

যখন একটি পিভিপি কিনবেন তখন আপনাকে দুটি প্রধান বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে- এর স্ক্রিনের আকার এবং ইনপুট আউটপুট  স্লট। আপনি কমপক্ষে সাত ইঞ্চির একটি ডিভাইস ব্যবহার করার চেষ্টা করুন, যদিও ইউএসবি এবং এসডি মেমোরি ইনপুট স্লটসহ নয় ইঞ্চি স্ক্রিন বেশি পছন্দের।

একটি আউটপুট দেখুন যেটি প্রজেক্টর এবং টেলিভিশন সংযুক্ত করতে পারে। সম্ভবত পৃথক ভিডিও এবং অডিও আউটপুট থাকে, যদিও এখন একতারের মধ্যেই তাদের সংযুক্ত করা যায়। 

আনুমানিক মূল্যসীমা

সাত থেকে নয় ইঞ্চি মাপের নিজস্ব স্ক্রিনসহ দেখতে সুন্দর মানসম্পন্ন প্রতিটি পিভিপিএস-এর দাম ৮০ ইউএস ডলার থেকে শুরু। 

ট্যাবলেট কম্পিউটার

একনজরে 

ট্যাবলেট কম্পিউটারগুলো মোবাইল ডিভাইস, যেগুলোর টাচ স্ক্রিন নেভিগেশন এবং সাধারণত সাত থেকে ১০ ইঞ্চি মাপের স্ক্রিন থকে। 

সবল দিক

টাচ স্ক্রিন নেভিগেশনগুলোর ব্যবহার পদ্ধতি কিছু ব্যবহারকারীর কাছে প্রচলিত কম্পিউটারের তুলনায় বেশি জানা থাকতে পারে। ট্যাবলেটগুলো হালকা এবং বহন করা সহজ, ল্যাপটপ কম্পিউটারের চেয়ে এগুলোর ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে।

দুর্বল দিক

ট্যাবলেটগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বহনযোগ্য, তাই অন্যান্য ডিভাইসের তুলনায় এগুলো চুরি হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বারবার ব্যবহারের ফলে কম্পিউটার মনিটর বা টেলিভিশনের মতো প্রদর্শন ডিভাইসগুলোর তুলনায় ট্যাবলেটগুলোর স্ক্রিন নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। 

সবচেয়ে উপযুক্ত সময় কখন

ছোটো আকারের স্ক্রিনের জন্য ট্যাবলেটগুলো একইসময়ে দুই থেকে তিনজন ব্যক্তির বেশি দেখতে পারে না। এগুলো সেরকম অবস্থাতেই ব্যবহার করা যায়, যেখানে একত্রে অনেক কৃষককে জড়ো করার প্রয়োজন নেই অথবা তা সম্ভব নয়। 

বিবেচ্য বিষয়

আপনি যদি শুধু ভিডিও সম্প্রচারের জন্য ট্যাবলেট ব্যবহার করতে চান, তবে তা স্ক্রিনের আকার এবং খরচের বিবেচনায় উপযুক্ত নয়। আপনি যদি ছোটো কোনো দলে ভিডিও দেখানোর জন্য ট্যাবলেট ব্যবহার করতে চান তবে সেটির স্ক্রিনের আকার হতে হবে নয় ইঞ্চি। 

আনুমানিক মূল্যসীমা

নয় ইঞ্চি মাপের স্ক্রিনসহ বেশিরভাগ ট্যাবলেটের দাম কমপক্ষে ৩০০ থেকে ৬০০ ইউএস ডলারের মধ্যে। 

ভারত থেকে আসা ‘আকাশ’ ট্যাবলেট (Ubislate 7) যেগুলোর কথা প্রায়ই বলা হয়, সেগুলো বাণিজ্যিকভাবে ৬০ ইউএস ডলারে পাওয়া যায়। যদিও এগুলো কেবল ভারতেই সহজলভ্য। তবে এটি ভবিষ্যতে আরো সাশ্রয়ী দামে ট্যাবলেট পাওয়ার একটি লক্ষণ হতে পারে।

মোবাইল ফোন

একনজরে

আজকাল ভিডিও সম্প্রচারের জন্য মোবাইল ফোন একটি সুবিধা হিসেবে বিবেচ্য। এগুলোতে সরাসরি ভিডিও চালানো যায় অথবা আপনি কোনো টেলিভিশন বা কম্পিউটার মনিটরের সাথে মোবাইল ফোন সংযুক্ত করেও ভিডিও চালাতে পারেন। 

অতি সম্প্রতি মোবাইল ফোনকে প্রজেক্টর হিসেবে ব্যবহার করারও একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। যদিও খুবই কমসংখ্যক ফোনেই এই সুবিধা রয়েছে, তবে সামনের বছরগুলোতে এই সুযোগ আরো বাড়বে।  

সবল দিক

মোবাইল ফোনের ব্যবহার ক্রসবর্ধমান হারে সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে, এমনকি বিশ্বের অনেক দূরবর্তী গ্রামেও। 

দুর্বল দিক

এর স্ক্রিনের আকার ছোটো এবং বর্তমান অন-বোর্ড প্রজেক্টরের সামর্থ্যও সীমিত।  

সবচেয়ে উপযুক্ত সময় কখন

আপনার সুবিধাভোগীদের মধ্যে যদি মোবাইল ফোনের ব্যবহার থাকে, বার্তাগুলো জোরদার করার কাজে সহযোগিতা করার জন্য ভিডিওর মোবাইল সংস্করণগুলো কাজে লাগাতে পারেন। ছোটো আকারের স্ক্রিনের দরুন এগুলো প্রাথমিক সম্প্রচারের জন্য খুব একটা ব্যবহার উপযোগী নয়। যেহেতু মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, সেহেতু ভিডিও দেখাতে সক্ষম এমন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যক্তি-পর্যায়ে কৃষকদের কাছে ভিডিও বার্তাগুলো জোরালোভাবে পৌঁছে দেওয়ার এক দুর্দান্ত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যদি আপনি আপনার মাঠকর্মীদের মোবাইল ফোন দিয়ে থাকেন, তবে যেসব মোবাইলে পিকো প্রজেক্টর ইন-বিল্ট থাকে সেগুলো তাদের জন্য কার্যকর হতে পারে।

বিবেচ্য বিষয়

ভিডিও সম্প্রচারের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনি নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করুন :
ফাইল ফরম্যাট : আপনি যদি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও সম্প্রচার করার পরিকল্পনা করে থাকেন, তবে আপনি এটা নিশ্চিত হন যে, আপনার ভিডিওগুলো আপনার সুবিধাভোগীদের কাছে থাকা মোবাইল ফোনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ফরম্যাটে আছে কি না। বেশিরভাগ সাধারণ ফরম্যাট হলো থ্রিজিপিপি (*.3gp file extension)। আপনার ভিডিওগুলো এই ফরম্যাট বা অন্য কোনো ফরম্যাটে রূপান্তর করার জন্য বিনামূল্যে সফ্টওয়্যার পাওয়া যায়।

স্ক্রিন রেজুলেশন : অনুমান করা যায় যে, আপনার সুবিধাভোগীরা যেসব মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সেগুলোর স্ক্রিন রেজুলেশন হলো ২৪০ x ৩২০। ভিডিও-গুলো প্রচারের মূল উদ্দেশ্য বিবেচনায় রাখলে, বিশেষ করে এ্যাগ্রনোমিক-চর্চার শিখন-ভিডিওগুলোর ক্ষেত্রে, এই রেজুলেশনের ভিডিও প্রচার করার কোনো মানে হয় না। তবে, অন্য পদ্ধতি ব্যবহার করে বড়োপর্দায় আপনি যদি ইতোমধ্যে আপনার ভিডিও-গুলো প্রচার করে থাকেন, তবে এই রেজুলেশনের মোবাইল-ভার্সন ভিডিও-গুলো কৃষকদের কাছে কার্যকর হতে পারে। এ ভিডিওগুলো দিয়ে কৃষকদের মধ্যে তথ্যের পুনঃপ্রয়োগ করা যেতে পারে অথবা মূল বিষয়ের সারাংশ তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে।

প্রজেক্টর ব্রাইটনেস :  বেশিরভাগ বিল্ট-ইন প্রজেক্টর ছয় লুমেন্সের হয়ে থাকে। যা একটি দলকে ভিডিও দেখানোর জন্য যথেষ্ট নয়। প্রযুক্তির উন্নয়ন হলে এবং চিফসেটস ছোটো হয়ে এলে এতে পরিবর্তন অসবে। স্যামসং বিমের মতো আরো কিছু ফোন পাওয়া যায় যেগুলোতে ইতোমধ্যেই ১০ লুমেন্সের প্রজেক্টর রয়েছে। কোনো মোবাইল ফোন কেনার আগে লুমেন্সের বিষয়টি নিশ্চিত হন। 

সর্বমোট খরচ : বিল্ট-ইন পিকো প্রজক্টরসহ মোবাইল ফোন কেনার আগে আপনি অবশ্যই মোট খরচ তুলনা করে দেখবেন। একটি পিকো প্রজক্টর এবং একটি মোবাইল ফোন আলাদা কেনার চেয়ে এর মূল্য কি কম ? প্রজেক্টরের মান কি স্ট্যান্ড-অ্যালোন ইউনিটের মতো উচ্চতর ? ব্যাটারি কতদিন চলবে ? 

আনুমানিক মূল্যসীমা

বিল্ট-ইন পিকো প্রজেক্টরসহ একটি মোবাইল ফোনের দাম ১৫০ থেকে ৬০০ ইউএস ডলারের মধ্যে। তবে এটি নির্ভর করে সামগ্রিক মান এবং ফোনের ফিচারগুলোর ওপর। 

ভিডিও ও তার সম্পচারের কাজে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশসমূহ এর পাশাপাশি আপনার আরও বেশ কিছু বাড়তি যন্ত্রাংশের প্রয়োজন পড়বে, যেগুলো মানসম্পন্ন ভিডিও নির্মাণ ও বিতরণে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।

এক্সটারনাল মাইক্রোফোন 

এক্সটারনাল মাইক্রোফোন ব্যবহার করলে আপনি ক্যামকর্ডারের সাথে সংযুক্ত মাইক্রোফোনের চেয়ে ভালো মানের অডিও রেকর্ড করতে পারবেন। এক্সটারনাল মাইক্রোফোন হিসেবে সাধারণত ‘ডিরেকশনাল’ ও ‘ওমনি-ডিরেকশনাল’ মাইক্রোফোনের ব্যবহার হয়ে থাকে।

যখন ভিডিও রেকর্ড করবেন, তখন নিশ্চিত করুন যে, আপনার নিজেরসহ আশপাশের সকলের মোবাইল ফোনের সুইচ অফ করা আছে। মোবাইল ফোনগুলো বন্ধ থাকলে রেকর্ডিং-এ ইলেক্ট্রিক্যাল শব্দ রেকর্ড হয়ে যাওয়ার ঝামেলা থেকে রেহাই পাবেন। 

ওমনি-ডিরেকশনাল মাইক্রোফোন সব দিকের শব্দ রেকর্ড করে। ‘ল্যাভালিয়ার’ মাইক্রোফোনগুলো এ ধরনের হয়, এগুলো ‘ল্যাপেল’ মাইক্রোফোন নামেও পরিচিত। যার কথা রেকর্ড করবেন, তার ল্যাপেল-এ (পোশাকের/জামার কলারের কাছে) মাইক্রোফোনগুলো আটকানো হয়। এ মাইক্রোফোনের সুবিধা হলো যেকোনো দিক থেকে আপনি তার কথা রেকর্ড করতে পারবেন। যদিও এসব মাইক্রোফোন ব্যাকগ্রাউন্ডসহ আশপাশের অন্যান্য শব্দও রেকর্ড করে ফেলতে পারে। ভিডিও রেকর্ড করার সময় এসব শব্দ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আপনি আপনার শুটিং লোকেশন কোলাহল থেকে বা রাস্তা থেকে দূরে নিয়ে যেতে পারেন।

এ মাইক্রোফোনগুলো যেহেতু পোশাকের সাথে আটকে থাকে, তাই আপনি যদি একসাথে একাধিক মানুষের কথা রেকর্ড করতে চান তবে যার যার কথা আপনি রেকর্ড করতে চান, তার তার কথা বলার সময় আলাদা আলাদা শটে মাইক্রোফোন সরিয়ে সরিয়ে রেকর্ড করতে হবে। এমন অবস্থায় আপনি যদি তারবিহীন ‘ল্যাভেলিয়ার’ মাইক্রোফোন ব্যবহার করেন, তবে আপনার "বক্তারা" নিজেদের মধ্যে মাইক্রোফোনটি হাত বদল করে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি যদি একাধিক মাইক্রোফোন ব্যবহার করেন, তবে একটি ছোটো ও বহনযোগ্য ‘সাউন্ড মিক্সার’ কিনে নিতে পারেন। সাউন্ড মিক্সারটি প্রতিটি মাইক্রোফোনের শব্দতরঙ্গকে অ্যাডজাস্ট বা সমন্বয় করতে পারে।

যদিও ভালো মানের ল্যাভেলিয়ার মাইক্রোফোনের দাম পড়বে ১০০ ইউএস ডলার, তবে আপনি চাইলে ৩০ থেকে ৫০ ইউএস ডলারে কম দামের ল্যাভেলিয়ার কিনতে পারেন। ছোটো সাউন্ড মিক্সার ৮০ ইউএস ডলারে পাওয়া যায়।

ডিরেকশনাল মাউক্রোফোন যেদিকে তাক করা হবে, শুধু সেদিকে শব্দ রেকর্ড করতে কাজ করে। ডিরেকশনাল মাইক্রোফোন মূলত দুই ধরনের :
কার্ডিওড : এ মাইক্রোফোনটি যেদিকে তাক করা হয় সেদিক থেকে এটি ‘হার্ট’-এর মতো আকার জুড়ে শব্দ রেকর্ড করে। অর্থাৎ শব্দের উৎসের কেন্দ্রবিন্দুকে ঘিরে এ হার্ট-এর আকারটি তৈরি হয় ;
শটগান : এ মাইক্রোফোনটি যেদিকে তাক করা হয় সেখানে থেকে সোজাসুজি শব্দ রেকর্ড করে। 

যেহেতু বেশিরভাগ ডিরেকশনাল মাইক্রোফোন, যার শুটিং করা হচ্ছে তার জামার সাথে আটকানো যায় না, সেহেতু ভিডিওগ্রাফারকে অথবা তার সহকারীকে ক্রমাগত নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে যার ভিডিও করা হচ্ছে তার দিকে মাইক্রোফোন তাক করতে হয়। শুটিংয়ের জায়গাটি কোলাহলপূর্ণ হলে এ মাইক্রোফোনটি খুবই কার্যকর, কারণ এটি যার দিকে তাক করা থাকে তার কথাই রেকর্ড করে, আশপাশের শব্দ খুব একটা আসে না। অমনি-ডিরেকশনাল মাইক্রোফোন দিয়ে এ-ধরনের রেকর্ড করা যায় না। প্রচুর বাতাস আছে, এমন জায়গায় শুটিং করতে হলে নিশ্চিত করুন যে, আপনার মাইক্রোফোনের সাথে বাতাসের শব্দ কাটানোর ‘উইন্ডশিল্ড’ কেনা হয়েছে।

উইন্ডশিল্ড-সহ কম দামের ডিরেকশনাল মাইক্রোফোন কিনতে খরচ পড়বে ৫০ থেকে ১০০ ইউএস ডলার। যার কথা রেকর্ড করা হবে তার কাছাকাছি অবস্থান থেকে সহজে মাইক্রোফোন তাক করতে ‘বুম পোল’ বা ‘বুম স্টিক’ লাগে, যার দাম পড়ে ৩০ ইউএস ডলার।

হেডফোন-সমূহ

আপনার ভিডিওটির জন্য শব্দ রেকর্ড করা জরুরি হলে সাথে হেডফোন থাকা আবশ্যক

ভালো মানের ও কানের জন্য আরামদায়ক হেডফোনের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ করা দরকার। এ-ধরনের হেডফোনের দাম শুরু হয় ২০ ইউএস ডলার থেকে, তবে সামর্থ্য অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের হেডফোন ব্যবহার করা ভালো। মাঠ-পর্যায়ে কাজের সুবিধা হয়।

রেকর্ডিংয়ের সময় শব্দ শোনার একমাত্র উপায় হলো আপনি ভালো মানের শব্দ রেকর্ড করছেন। 

ট্রাইপডস

ভিডিও নির্মাণে ট্রাইপডস একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। ট্রাইপডস ছাড়াও কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি আপনার ক্যামেরাকে ঝাঁকুনিমুক্ত রাখতে পারেন, কিন্তু পুরোপুরি ঝাঁকুনিমুক্ত রাখতে চাইলে ট্রাইপডস-এর কোনো বিকল্প নেই। 

মোটামুটি মানের ৫০ থেকে ৬০ ইঞ্চির একটা ট্রাইপড কিনতে কম করে হলেও ২০ ইউএস ডলার লাগে। তবে ‘ফ্লুইড হেড’-যুক্ত ট্রাইপডস কেনাটাই ভালো, তাতে ক্যামেরার ‘লেভেল’ ঠিক রাখা যায়। সব সময়ের জন্যই ‘বাবল’-যুক্ত ট্রাইপড ব্যবহার করা ভালো, যাতে আপনি বুঝতে পারেন ক্যামেরার লেভেল ঠিক আছে কি না।

এমনকি মোটে ৫ ইউএস ডলার দিয়েও আপনি ছোট ট্রাইপডস কিনতে পারেন, যদিও এসব ট্রাইপডস ইনডোর শুটিংয়ে ব্যবহার করতে বলা হয়। কারণ, সেখানে কোনো-না-কোনো জায়গা পাওয়া যাবে যার উপর ট্রাইপডস-টি রাখা যায়।

ল্যান্স রিমোট জুম কন্ট্রোলার

যেসব ভিডিও ক্যামেরার সাথে ল্যান্স সকেট লাগানো থাকে, সেসব ক্যামেরার জন্য একটি রিমোট জুম কন্ট্রোলার কিনলে ভালো হয়। প্রায় সকল ভিডিও ক্যামেরার সাথেই জুম কন্ট্রোল থাকলেও, তা ভালোভাবে ব্যবহার করা প্রায়শই ঝামেলাপূর্ণ হয়। রিমোট জুম কন্ট্রোলার-গুলো ট্রাইপডস-এর হাতলের সাথে আটকানো থাকে। ফলে জুম-এর কার্যকারিতা ভালোভাবে ও সহজভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আপনি চাইলে রিমোট জুম দিয়েই ক্যামেরা চালু বা বন্ধ করতে পারবেন। জুম কন্ট্রোলারের দাম ৩০ ইউএস ডলার থেকে শুরু হয়।

এসডি মেমোরি কার্ড

আপনি যদি একটা ‘ক্যামকর্ডার’ কিনে থাকেন এবং সেটার যদি বাড়তি [এক্সপ্যানডেবল] মেমোরি ¯øট থাকে, তবে আপনার এসডি মেমোরি কার্ড কেনার প্রয়োজন পড়বে। পকেটে রাখা যায় এমন প্রায় সকল ক্যামকর্ডারেই ৩২ থেকে ৬৪ গিগাবাইট বাড়তি মেমোরি যুক্ত করা যায়। গত কয়েক বছরের মধ্যে এসডি মেমোরি কার্ডের দাম অনেক কমে গেছে, ফলে আপনি ৩২জিবি কার্ড ৩০ থেকে ৪০ ইউএস ডলার ও ৬৪জিবি কার্ড ৮০ ইউএস ডলারে কিনতে পারবেন। নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এগুলোর দাম আরও কমবে।

বহনযোগ্য অডিও স্পিকার

ভিডিওগুলো আপনি যদি প্রজেক্টর বা ট্যাবলেটের [ছোটো আকারের ল্যাপটপ] মাধ্যমে প্রচার করতে চান, তবে শব্দের আওতা বাড়াতে আপনাকে হয়ত বহনযোগ্য অডিও স্পিকার কিনতে হবে। কারণ, শুধু যন্ত্রের সাথে যুক্ত স্পিকার দিয়ে সকলকে শোনানো সম্ভব হবে না। এক সেট বহনযোগ্য স্পিকারের দাম ২০ থেকে ৪০ ইউএস ডলার। স্পিকারটি কেনার সময় দেখে নিন যে, সেটি রিচার্জেবল ব্যাটারি বা নিয়মিত ব্যাটারিতে চলে কি না, কারণ, এমন জায়গায় আপনাকে ভিডিও দেখাতে হতে পারে যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ অনিয়মিত, বিদ্যুৎ না থাকলেও যেন স্পিকারটি চলে।

নতুন ধরনের কিছু স্পিকার আছে যেগুলো কম্পিউটারের ‘ইউএসবি’ পোর্ট ব্যবহার করে চালানো যায়। যেখানে ভিডিওগুলো দেখানো হবে সেই স্থানের ও দর্শকদের জন্য স্পিকারটি সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না তা সব সময় চেক করে নেবেন।

বৈদ্যুতিক গ্রিড-সংযোগহীন এলাকায় ব্যবহারের চার্জার-সমূহ

সাধারণভাবে ভিডিও নির্মাণ ও প্রচারের জন্য যে অফিসে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ আছে সে অফিসই ব্যবহার করা উচিত। এমনকি বৈদ্যুতিক গ্রিডের সাথে সংযুক্ত না, এমন কোনো গ্রামে আপনার ভিডিও নির্মাণ বা প্রচারের কাজ থাকলে নিশ্চিত হয়ে নিন যে, বাড়তি ব্যাটারিগুলো, যেগুলো প্রয়োজনে আপনি পুনঃস্থাপন করবেন, পুরোপুরি চার্জ করা আছে কি না। বৈদ্যুতিক গ্রিড-সংযোগহীন এলাকায় শুটিং বা প্রচার, যেকোনো কাজেই আপনার যদি মনে হয় পূর্বনির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগবে তখন আপনার ডিভাইসগুলোকেও বাড়তি সময়ের জন্য চালাতে চার্জ করা লাগবে। 

এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ সমাধান হলো সৌরবিদ্যুৎচালিত চার্জার। তবে এ-চার্জার থেকে সুবিধা নিতে হলে এমন জায়গায় আপনাকে থাকতে হবে যেখানে অন্তত ছয় ঘণ্টা সূর্যের আলো থাকে। যেসব ডিভাইস নিয়ে আমরা কথা বললাম, সেগুলো চার্জ করতে সৌরবিদ্যুৎচালিত চার্জারের খরচ পড়বে ১০০ থেকে ১৫০ ইউএস ডলার। বৈদ্যুতিক গ্রিড-সংযোগহীন এলাকায় ব্যবহারের জন্য চার্জার কেনার আগে ভালো করে জেনেবুঝে নিন। কারণ অনেক সময়, একই দামে কেনা সত্তে¡ও সকল চার্জার একই মানের সেবা দেয় না। আরেকটি বিকল্প ব্যবস্থা হলো, যদি আপনাকে অনেকটা দূর গাড়ি চালিয়ে যেয়ে কাজ করতে হয়, তবে গাড়ির চার্জার ব্যবহার করা।

রিচার্জেবল ব্যাটারি

বিশেষ করে আপনি যদি এমন কোনো জায়গায় কাজ করেন, যেখানে ইলেকট্রনিক জিনিসের দোকান  নেই, তবে অবশ্যই রিচার্জেবল ব্যাটারি রাখুন। আপনার ভিডিও নির্মাণের জন্য যে যন্ত্রই কিনেন না কেন, সেটির জন্য উপযোগী চার্জার ও রিচার্জেবল ব্যাটারি কেনার কথা ভুলবেন না। ব্যাটারির ধরন ও প্রস্তুতকারী কোম্পনিভেদে দামের হেরফের হয়।

ইউএসবি এক্সটেনশন কেবল

পকেটে বহনযোগ্য কিছু ক্যামকর্ডারের সাথে ছোটো ইউএসবি প্লাগ থাকে, যা দিয়ে ক্যামকর্ডারটি কম্পিউটারের ইউএসবি পোর্টের সাথে যুক্ত করা যায়। এক্সটেনশন কেবল-এর ছোটো দৈর্ঘ্যরে কারণে এগুলো ব্যবহার করা ঝামেলাপূর্ণ হয়, তাছাড়া ক্যামেরার উপর চাপও পড়ে। কাছাকাছি ৫ ইউএস ডলার দিয়ে আপনি একটি ‘মেইল-টু-ফিমেইল’ ইউএসবি এক্সটেনশন কেবল কিনলে আপনার ক্যামকর্ডারটি কম্পিউটারের কাছে এনে ঝুলিয়ে রাখার বদলে দূর থেকেই সেটিকে কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করতে পারবেন।

সুরক্ষা ঢাকনা

কিছু ডিভাইসে নতুন অবস্থাতেই প্রটেকটিভ কেইস লাগানো থাকে, আবার অনেকগুলোতে থাকে না। এমনকি কাপড় দিয়ে হলেও ডিভাইসগুলোতে প্রটেকটিভ কেইস লাগানোর জন্য কিছু খরচ করা দরকার। ধুলা এবং বৃষ্টি থেকে বা পরিবহনের সময়ে কোনো রকমের আঘাত থেকে প্রটেকটিভ কেইস আপনার ডিভাইসগুলোকে রক্ষা করবে। ট্যাবলেট-কম্পিউটার বা স্মার্ট ফোনের জন্য স্বচ্ছ স্ক্রিন প্রটেকটর কেনা জরুরি।

ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স

এ লেন্সটি থাকতেই হবে এমন না, তবে ভিডিও করার সময় পুরো জায়গাটির বিস্তৃতি বা ব্যাপ্তিকে দর্শকের কাছে তুলে ধরতে হলে ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স থাকা ভালো। সব ধরনের ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স ক্যামকর্ডারে কাজ করে না, তাই কেনার আগে দেখে নিন লেন্সটি উপযুক্ত কি নি। পকেটে বহনযোগ্য ক্যামকর্ডারে প্রাথমিকভাবে কাজ করবে এমন লেন্স-এর দাম পড়বে ২৫ থেকে ৫০ ইউএস ডলার।

ভিডিও নির্মাণ ও বিতরণের জন্য ভিডিও এডিটিং অ্যাপ্লিকেশনস, অডিও এডিটিং, ছবি এডিটিং, ভিডিও অনুবাদ ও ভিডিও ফাইল কনভার্সন, ইত্যাদি কাজ করতে আপনার অনেক রকমের সফটওয়্যার প্রোগ্রামের প্রয়োজন পড়বে।

এখানে যেহেতু কম খরচে ভিডিও নির্মাণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, এ অধ্যায়ে আমরা ফ্রি বা বিনামূল্যের সফটওয়্যারগুলো নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যারগুলো বাণিজ্যিক সফটওয়্যারগুলোর মতোই সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং ন্যূনতম মানম্পন্ন ভিডিও নির্মাণযোগ্য।

কেনা এডিটিং সফটওয়্যারগুলো প্রায়শই বিনামূল্যের সফ্ট-অয়্যাগুলোর চেয়ে অনেক ভালো অপশনস দিয়ে থাকে। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাডভান্সড বা অগ্রগামী ব্যবহারকারীগণই এই তফাৎগুলো ধরতে পারে। বিনামূল্যে পাওয়া যায় এমন সফ্ট-অয়্যারগুলোয় যদি যে ফিচারটি আপনি খুঁজছেন তা না পান, তবে সেই ফিচারটির জন্য সফটওয়্যার কেনার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন। যেহেতু কম্পিউটারগুলো সাধারণভাবে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে চলে, তাই এ অধ্যায়ে কেবল উইন্ডোজ সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রোগ্রামগুলো নিয়েই আলোচনা হবে।

আপনি যদি এ ধরনের প্রোগ্রাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন হন, তবে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে ঢুকে ‘ভিডিও টিউটোরিয়াল’ দেখে নিতে পারেন। যদি সেখানে কিছু না পান, তবে ইউটিউব বা ভিমেও-তে ‘ইউজার-ক্রিয়েটেড’ বা ব্যবহারকারীদের বানানো টিউটোরিয়াল দেখতে পারেন।

‘স্ট্রাকচার্ড’ সফটওয়্যারের প্রশিক্ষণ ভিডিওগুলো অনেক ওয়েবসাইটেই পাবেন। যেমন 

www.creativecow.net www.lynda.com www.larryjordan.com

যদিও কিছু প্রশিক্ষণ ভিডিও বিনামূল্যেই পাওয়া যায়, তবে সাবস্ক্রাইব-এর ভিত্তিতে এসব প্রশিক্ষণ ভিডিওতে ঢোকা যায়। নির্দিষ্ট ধরনের ভিডিও নির্মাণের বিভিন্ন দিক, সফ্ট-অয়্যার এবং হার্ড-অয়্যার, ইত্যাদি বিষয়ে ‘ক্রিয়েটিভ কাউ’ নামের ওয়েবসাইটে অনেক তথ্য পাওয়া যায়।

আপনি যে প্রোগ্রামটি ব্যবহার করার কথা ভাবছেন, তার টেকনিক্যাল চাহিদাগুলো কি তা চেক করে নেওয়ার কথাটা মনে রাখবেন, যাতে সেটি আপনি আপনার কম্পিউটারে ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারেন। এ ধরনের কিছু কিছু প্রোগ্রাম, বিশেষ করে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারগুলো চালাতে কম্পিউটারের অনেক রকমের চাহিদা পূরণ করতে হয়। তাই আপনার কম্পিউটারটি সেসব চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী কি না তা নিশ্চিত হয়ে নিন। যদি না হয়, তবে আপনাকে এসব চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম এমন একটি কম্পিউটার কিনতে হবে।

ভিডিও এডিটিং

আপনি যদি পকেট-ক্যামকর্ডার ব্যবহার করেন, তবে এ ক্যামেরার ভেতরে আগে থেকেই কিছু ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যুক্ত অবস্থায় পাবেন। এগুলো খুবই প্রাথমিক পর্যায়ের সফটওয়্যার, যা দিয়ে সীমিত পর্যায়ের সাধারণ এডিটিং করা যায়। আরো উন্নত এডিটিং করতে চাইলে আপনি ‘উইন্ডোজ মুভিমেকার’ ব্যবহার করতে পারেন। এ সফ্ট-অয়্যারটি যেকোনো ‘উইনডোজ এক্সপি সার্ভিস প্যাক-২’-এ বিনামূল্যেই ইন্সটল করা থাকে, এটা ব্যবহার করাও সহজ। আপনি যদি উইনডোজ ভিসতা অথবা ৭ ব্যবহার করেন তবে এটির নতুন ভার্সন ‘উইনডোজ লাইভ মুভি মেকার’ অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন :http://explore.live.com/windows-live-essentials-movie-maker-get-started.

যদিও মুভি মেকারও সকল সমস্যার ঊর্ধ্বে নয়। মাঝে মাঝেই এটি কাজ করে না, এছাড়াও কিছু নির্দিষ্ট ভিডিও ফরমেটেও সফ্ট-অয়্যারটি কাজ করে না। ‘টেল-টেইলস’ সাইনযুক্ত ভিডিও বা ‘কোডেক ১’ ফরমেটের ভিডিও মুভিমেকারের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ, ফলে এ ধরনের ভিডিওগুলো সেইভ করার সময় দেখবেন যে, সেইভ-এর জন্য সময় কেবলই বাড়তে থাকে। একটি ভিডিও-র এডিটিং শেষ করার পর যখন আপনি দেখেন যে, মুভি মেকার ভিডিওটির মাস্টার-কপি তৈরি করতে সমর্থ হচ্ছে না, তখন সেটা আপনার জন্য হতাশাজনক হতে পারে। এসব ঝামেলা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার ভালো উপায় হলো, মুভি মেকার-এর ‘সেইভ মুভি ফাইল’ বোতামে চাপ দেওয়া। যদি দেখেন যে, ভিডিওটি নতুন মুভি হিসেবে সেইভ হয়েছে, তা হলে বুঝবেন ভিডিওটি মুভি মেকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

অগ্রগামী ব্যবহারকারীগণ আরো পেশাদার প্রোগ্রাম ‘লাইটওয়ার্কস’-এর মতো পূর্ণ ফিচারযুক্ত সফটওয়্যারব্যবহারে আগ্রহী হতে পারেন। এ সফটওয়্যারটি বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়, তবে পেশাদারি ভিডিও এডিটিংয়ের পরিপূর্ণ সুবিধা নিতে হলে বছরে ৬০ ইউএস ডলার দিতে হয়। এ কাজের জন্য নির্দিষ্ট সফটওয়্যার সাপোর্ট-ও কেনা যেতে পারে। ‘লাইট ওয়ার্কস’-বিষয়ক আরও তথ্য জানতে ক্লিক করুন : http://www.lwks.com

অ্যাডোব-এর ‘প্রিমিয়ারপ্রো’ সফটওয়্যারটি সর্বাধিক ব্যবহৃত পেশাদার ভিডিও এডিটিং প্রোগ্রাম। কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য এ প্রোগ্রামটি বেশ ভালো। তাই আপনি আপনার কম্পিউটারটি চেক করে দেখুন যে, প্রোগ্রামটি সেখানে চলে কি না। প্রোগ্রামটি সম্পর্কে বাড়তি তথ্য পেতে ক্লিক করুন : www.adobe.com/products/premiere

এ সফটওয়্যারটি এত জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হলো এটি ‘এডব’ এর অন্যান্য পণ্য যেমন, ফটোশপ-এর সাথে সম্পৃক্ত। প্রিমিয়ারপ্রো-এর সাথে ডিভিডি তৈরির Encore নামের একটি অগ্রগামী সফ্ট-অয়্যার দেওয়া থাকে। এ প্রোগ্রামটি খুবই শক্তিশালী, যা দিয়ে বহু ধরনের প্রোগ্রাম ও বহু-ভাষার ডিভিডি বানানো যেতে পারে। সাধারণ মানের ডিভিডি তৈরির প্রোগ্রামগুলো প্রায়শই ক্যামেরার সফটওয়্যার ও অন্যান্য ভিডিও এডিটিং প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত থাকে।

যদি আপনার কম্পিউটার পূর্ণ মাত্রার ভিডিও এডিটিং সফ্ট-অয়্যার চালানোর জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী না হয়, কিন্তু আপনার ইন্টারনেট কানেশন যদি দ্রুত মাত্রার হয়, তবে আপনি অনলাইনের WeVideo দিয়ে এডিটিং করতে পারেন : -www.wevideo.com

যদি দ্রুতগতিসম্পন্ন ও নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট কানেকশন থাকে, তবে ‘উইভিডিও’ ব্যবহার করে ‘ক্লাউড’ বা ইন্টারনেটেই আপনি আপনার ভিডিও আপলোড করে এডিটিংয়ের কাজ করতে পারবেন। ইন্টারনেটে এডিটিং করলে অন্যান্য লোকেশনে থাকা সহকর্মীদের সাথেও আপনি সমন্বয় করতে পারবেন। মাসিক বা বাৎসরিক ভিত্তিতে নিয়মিত উইভিডিও সাবসক্রাইব করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিনামূল্যের প্রাথমিক বা বেসিক ইউজার প্যাকেজটি ব্যবহার করে দেখুন।

ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের সম্ভাব্য অন্যান্য বিকল্পগুলোর তুলনামূলক কার্যাবলি সম্পর্কে জানতে FindTheBest এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন : 

http://video-editing.findthebest.com

বর্তমানে এখানে প্রায় ৬৫ রকমের ভিডিও এডিটিং প্রোগ্রামের তথ্য রয়েছে।

ডিজিটাল ভিডিও এনকোড/ডিকোড করার জন্য ‘এ কোডেক’ একটি সফটওয়্যার।

অডিও এডিটিং

আপনি যদি ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য উইন্ডোজ মুভি মেকার বা প্রাথমিক পর্যায়ের কোনো ভিডিও সফটওয়্যার নির্বাচন করে থাকেন, তবে অডিও এডিটিংয়ের বিকল্পগুলো এখানে সীমিত আকারে পাবেন। আপনি যদি আপনার ভিডিওতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অডিও এডিটিং চান বা অন্য রেকর্ডিং যুক্ত করতে চান অথবা ভয়েস ওভার বা ডাবিং যুক্ত করতে চান, আপনাকে একটি অডিও এডিটিং প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে হবে। বিনামূল্যেও, ব্যবহারকারী-বান্ধব ও শক্তিশালী অডিও এডিটিং সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে ‘অডাসিটি’ নামের সফটওয়্যারটি বর্তমানে সহজলভ্য। সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন : www.audacity.sourceforge.net

স্থানীয় রেডিও স্টেশন অথবা কমিউনিটি কেন্দ্রগুলোতে বিতরণের জন্য ‘অডাসিটি’ নামের সফটওয়্যার ব্যবহার করেও আপনি আপনার অডিও-পণ্য তৈরি করতে পারেন। ভিডিও-র মাধ্যমে আপনি যে-সব তথ্য প্রচার করছেন, অডিও-পণ্যগুলো সে-সব তথ্য আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করবে। চাইলে আপনি আপনার ভিডিও কনটেন্টের সাথে সামঞ্জস্য রেখে অডিও কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন, অথবা নতুন অডিও-পণ্য বা কনটেন্ট-ও তৈরি করতে পারেন। হয় WAV বা mp3 তে আপনার অডিও-কনটেন্টগুলোর আউটপুট নিন।

ছবি এডিটিং

ভিডিও নির্মাণ প্রক্রিয়ায় ইমেজ বা ছবি এডিটিং করা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনি যদি আপনার ভিডিও-এ গ্রাফিক্স ব্যবহার করতে চান বা ছবিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করতে চান, তবেই ইমেজ-এডিটিং সফ্ট-অয়্যার প্রয়োজন হবে। অধিকাংশ পিসি কম্পিউটারের সাথে বিনা মূল্যে ‘পেইন্ট’ নামে একটি সফ্ট-অয়্যার যুক্ত থাকে, এটি খুব সাধারণ অথচ কার্যকর একটি টুল যা দিয়ে আপনি আপনার ভিডিওর ছবিতে ভিন্নমাত্রা আনতে পারেন। আরেকটি খুব শক্তিশালী এবং বিনামূল্যের সফ্ট-অয়্যারের নাম GIMP (the GNU Image Manipulation Program)। এটি ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন : www.gimp.org

ছবি এডিটিংয়ের জন্য অনেক রকমের সফ্ট-অয়্যার আছে। তবে সাধারণভাবে বহুল ব্যবহৃতটি হচ্ছে অ্যাডব’স ফটোশপ।

কণ্ঠ-অনুবাদ এবং সাবটাইটেলিং

সাবটাইটেলিংয়ের মাধ্যমে আপনার ভিডিওতে বর্ণিত কথাগুলো অনুবাদ করে পর্দায় দেখানো হয়, যা দর্শকদের পড়ে বুঝতে হয়, এটি বিরক্তিকর বলেই ধরে নেওয়া হয়। সে কারণে এগ্রিকালচারাল প্রোগ্রামের অধিকাংশ ভিডিওতে কণ্ঠ অনুবাদ বা ডাবিং করা হয়। অর্থাৎ ভিডিওর বর্ণনাসহ সকল ইন্টারভিউ দর্শকের ভাষার চাহিদা অনুযায়ী ভাষায় নির্মিত হয়। এ কাজটি ভিডিও এডিটিং সফ্ট-অয়্যার দিয়ে খুব সহজে সম্পন্ন করা যায়। এ কাজে নির্ভুল অনুবাদ এবং নতুন কণ্ঠের (dubbing) টাইমিং বা সময়-সামঞ্জস্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

যেহেতু কাউকে না কাউকে ডায়লগগুলো (অথবা ডায়লগের অনুবাদগুলো) নিজ উদ্যোগে ভালোভাবে অনুধাবন করতে হয়, ফলে ভিডিও সাবটাইটেলিংয়ের কাজে অনেক সময় ব্যয় হয়। কিছু প্রোগ্রাম এ-প্রক্রিয়াকে সহজ করেছে। ‘এগিসাব’ তেমনই একটি বিনামূল্যের সাবটাইটেলিং সফ্ট-অয়্যার-এর উদাহরণ। এ সফ্ট-অয়্যারটি ডাউনলোডের জন্য www.aegisub.org এখানে ক্লিক করতে পারেন। যেহেতু এ সফ্ট-অয়্যারটি মূল ভিডিও-র থেকে আলাদা থাকে, তাই একে softsubbing বলা হয়। এ সফ্ট-অয়্যারের অসুবিধার দিকটি হলো সাবটাইটেল দেখাতে হলে প্লেব্যাক ডিভাইসের প্রয়োজন হয়। ‘এগিসাব’-এর ভিডিওগুলো ইউটিউবের সাথে কমপ্যাটিবল বা সামঞ্জস্যপূর্ণ। কারণ, যখন আপনি ভিডিওটি ইউটিউবে আপলোড করেন, অনুবাদগুলোও ‘ক্যাপশন’ সেকশনের অধীনে আপলোড হয়ে যায়। ‘হার্ডসাবিং’ প্রক্রিয়া বা ভিডিওতে সরাসরি এনকোড করা সাবটাইটেল সবচেয়ে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ। অনলাইনে ‘হার্ডসাবিং’ করার উপকরণসমূহ পাওয়া যায়।

ফাইল পরিবর্তন করা

যেহেতু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভিডিও ফাইলের কোনো ইউনিফরম বা অভিন্ন ফরমেট নেই, আপনি হয়ত দেখলেন যে, আপনার ক্যামকর্ডারে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজসমূহ এমন এক ধরনের ফাইল যে, সেগুলো আপনি আপনার এডিটিং সফট-অয়্যার দিয়ে এডিট করতে পারছেন না। অথবা দেখা গেল আপনার এডিট করা ফাইলটি প্রজেক্টরে চলছে না। ভিডিও ফাইলসমূহ এক ফরমেট থেকে আরেক ফরমেট-এ কনভার্সন বা পরিবর্তন করার জন্য অনেক ধরনের প্রোগ্রাম রয়েছে। ‘ফরম্যাট ফ্যাক্টরি’ তেমনই প্রোগ্রাম, যা খুব ভালো কাজে দেয়। 

 

     

    Get involved...

    Some text here if required

    Latest News

    তরুণ পরিবর্তনকারীরা ভিডিও ব্যবহার করে এগ্রোইকোলজিতে বিপ্লব ঘটিয়েছেন

    অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ২৫-এ এপ্রিল ২০২৪ তাদের নতুন বই “ইয়াং চেঞ্জমেকার”- প্রকাশের ঘোষণা দিতে পেরে দারুণ আনন্দিত। বইটিতে আফ্রিকা ও ভারতের ৪২টি

    অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের আরবি ভাষার প্ল্যাটফর্মের সূচনা : একটি উত্তেজনাকর মাইলফলক

    অ্যাকসেস এগ্রিকালচার আনন্দের সাথে ঘোষণা করছে যে, তারা আরবিভাষীদের জন্য আরবি ভাষার প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। এতে করে বহু আরবিভাষীর কাছে পৌঁছানো যাবে

    অ্যাকসেস এগ্রিকালচার-এর নতুন ওয়েবসাইটে স্বাগত

    কৃষিবিদ্যা এবং জৈবচাষাবাদের ওপর কৃষক প্রশিক্ষণ ভিডিওর বিশ্বের বৃহত্তম বহুভাষিক লাইবেরি অন্বেষণ করুন ব্রাসেলস, বেলজিয়াম — অ্যাকসেস এগ্রিকালচার তাদের

    মিশরে অগ্রগামী কাজের জন্য অ্যাকসেস এগ্রিকালচার প্রশংসিত

    সিজিআইআর, একটি বৈশ্বিক কৃষি-গবেষণা নেটওয়ার্ক, এর নির্বাহী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডক্টর ইসমাহানে ইলাউফি মিশরের প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চলে নারী ও তরুণ শ্রেণিসহ কৃষকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    সাম্প্রতিক ভিডিও

    আমাদের স্পনসরদের ধন্যবাদ